Languages

জেনেরেটর কি? কত প্রকার ও কি কি? এসি ও ডিসি জেনারেটর এর প্রকারভেদ

Text size A A A
Color C C C C

প্রশ্নঃ জেনেরেটর কি

উত্তরঃ  যে যন্ত্রের সাহায্যে যান্ত্রিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রুপান্তরিত করা হয় তাকে জেনেরেটর বলে। এই রাপান্তরন প্রকিয়া সম্পাদনের জন্য Magnetic field তৈরির প্রয়োজন হয়।

জেনেরেটর এ আরমেচার এর উপরিভাগে তারের কয়েল বসানো থাকে। চুম্বকক্ষেত্রের ভিতরে আরমেচারটিকে ঘুরানোর জন্য প্রয়োজন হয় একটি প্রাইমমুভার (ইঞ্জিন)। আরমেচার কয়েলকে যদি চুম্বক্ষেত্রের মধ্যে ঘুরানো হয় তবে আরমেচার পরিবাহীতে ভোল্টেজ উৎপন্ন হয় তবে তাকে EMF (Electro motive Force) বলে।
 

জেনেরেটর সাধারনত দুই প্রকার

১। এসি জেনারেটর
২। ডিসি জেনারেটর

অল্টারনেটরের(এ সি জেনারেটর) মুলতত্ত্বঃ 

তড়িৎ-চৌম্বক আবেশের (Electromagnetic induction) তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে অল্টারনেটর তৈরি করা হয়। ডি সি জেনারেটরের মত অল্টারনেটরেও আর্মেচার ও চৌম্বকক্ষেত্র থাকে। অল্টারনেটরে আর্মেচার ওয়াইন্ডিং একটি স্থির কাঠামোর উপর বসানো থাকে। একে স্টেটর বলা হয়। আর মেশিনের চৌম্বক কয়েল একটি ঘূর্ণনশীল কাঠামোর উপর বসানো থাকে যাকে রোটর বলা হয়। একটি ঢালাই লোহার ফ্রেমের সাথে আর্মেচার ও স্টেটরের কেন্দ্রভাগ আটকানো থাকে। কেন্দ্রভাগের ভিতরের দিকে ওয়ান্ডিং বসানোর জন্য খাঁজ কাটা থাকে। রোটরের বাইরের দিকে পর্যায়ক্রমে দক্ষিণ ও উত্তর মেরু সৃষ্টি হয়। পোলের গায়ে জড়ানো কয়েল দিয়ে ডি সি সাপ্লাই থেকে ১২৫ কিংবা ২৫০ ভোল্টে বিদ্যুত প্রবাহিত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডি সি প্রবাহ দেয়ার জন্য রোটর শ্যাফ্‌টের সঙ্গে সংযুক্ত একটি ছোট শান্ট জেনারেটর ব্যবহার করা হয় যাকে এক্সাইটার বলা হয়। এক্সাইটার থেকে বিদ্যুত কারেন্ট ব্রাশ ও স্লিপ রিং হয়ে কয়েলে জায়। রোটর ঘুরতে আরম্ভ করলে সে সঙ্গে চুম্বক বলরেখাও ঘুরতে থাকে। ঘুরন্ত চৌম্বক বলরেখা যখন স্টেটরের খাঁজে বসানো পরিবাহকগুলোকে ছেদ করে, তখন তড়িৎ-চুম্বকীয় আবেশের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি পরিবাহকে তড়িচ্চালক শক্তি আবিষ্ট হয়। আবিষ্ট পরিবাহকের অভিমুখ ফ্লেমিং এর দক্ষিণ হাত নিয়ম থেকে জানা যায়। এ নিয়ম প্রয়োগ করলে দেখা যায় কোন পরিবাহকের সামনে যখন দক্ষিণ প্রান্ত এসে দাঁড়ায় তখন আবিষ্ট তড়িচ্চালক শক্তি ও বিদ্যুৎ যে দিকে কাজ করে উত্তর প্রান্ত আসলে তার বিপরিত হয়। ফলে আর্মেচারের আবিষ্ট তড়িচ্চালক শক্তিও তড়িৎ দিক পরবর্তি হয়।

এসি জেনারেট এর গঠন

বর্তমান যুগে এসি জেনারেটরের প্রচলন সবচেয়ে বেশি। এসি জেনারেটরে একটি ক্ষেত্রচুম্বক থাকে এবং চুম্বকের মাঝখানে ১ টি কাঁচা লোহা এর পাতের উপর তারের একটি আয়তাকার কুন্ডলী থাকে। এখানে যে কাঁচা লোহার পাত থাকে সেটাকে আর্মেচার বলা হয়ে থাকে। এখন এই আর্মেচারকে চুম্বকের দুই মেরুর ঠিক মাঝখানে যান্ত্রিক শক্তি দিয়ে সমান দ্রুতিতে ঘুরানো হয় । দুই প্রান্তের দুইটি স্প্রিং এর সাথে আয়তাকার কুন্ডলী সংযুক্ত থাকে। এই স্প্রিং দুটি আর্মেচারের একই অক্ষ এর বরাবর ঘুড়তে পারে। এমনভাবে কার্বন নির্মিত দুইটি ব্রাশ স্থাপন করা হয় যাতে আর্মেচার ঘুরার সময় স্প্রিং দুটিকে স্পর্শ করে এবং ব্রাশ দুটির সাথে বহিবর্তনীর রোধ সংযুক্ত থাকে। মুলত এটি একটি জেনারেটের এর গঠন প্রানালী ।

 

এসি জেনারেট এর কার্যপ্রনালী

যখন আরমেচারকে ঘুরানো হয় ঠিক তখন আর্মেচার কুন্ডলী চম্বুকক্ষেত্রের বলরেখাগুলো কে ছেদ করে এবং তাড়িতচৌম্বক আবেশের নিয়মান অনুযায়ী কুণ্ডলীতে তড়িৎ চালক শক্তি আবিষ্ট হয় এবং কুণ্ডলীর দুই প্রান্ত বহিবর্তনীর সাথে সংযুক্ত থাকার কারনে বর্তনীতে পর্যাবৃত্ত তড়িৎ প্রবাহের উৎপত্তি হয় । এই আবিশষ্ট তরিৎ প্রবাহেরে মান সাধারনত চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রাবল্য এবং ঘূর্ণন বেগ এর উপর নির্ভর করে। কুন্ডলীর ১ বার ঘুর্ননের মধ্যে আবিষ্ট তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখও ১ বার পরিবর্তিত হয় এবং এভাবেই যান্ত্রিক শক্তি হতে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করা হয়।

অল্টারনেটরের(এ সি জেনারেটর) বিভিন্ন অংশের তালিকাঃ

অল্টারনেটরের প্রধান অংশ তিনটি:

  • স্টেটর
  • রোটর
  • এক্সাইটার

স্টেটরঃ

বড় বড় অল্টারনেটরের স্টেটর দুই ধরনের হয়ে থাকে:

  • ফ্রেম বা ইয়ক
  • স্টাম্পিং

রোটরঃ

অল্টারনেটের রোটর দুই ধরনের:

  • স্যালিয়েন্ট পোল
  • নন স্যালিয়েন্ট পোল

 

এসি জেনারেটর এর প্রকারভেদ

এসি জেনারেটর দুই প্রকার

১। ইন্ডাকশন জেনারেটরঃ ইন্ডাকশন জেনারেটর সাধারন জেনারেটর এর মতই অল্টারনেটিং কারেন্ট জেনারেটর এবং সাধারন জেনারেটর এর মত একই কার্যপ্রনালীতে কাজ করে। এই জেনারেটর এর কার্যপ্রনালী ট্রান্সফর্মারের মতই শুধু পার্থক্য হল ট্রান্সফরমার একটি স্ট্যাটিক ডিভাইস এবং জেনারেটর একটি ঘুর্নায়মান ডিভাইস। এগুল সাধারনত ছোট মেশিন যেমন মিক্সার এ ব্যাবহার হয়।

২। সিঙ্ক্রোনাস জেনারেটরঃ এই জেনারেটর হচ্ছে অল্টারনেটিং কারেন্ট জেনারেটর যেটা সিঙ্ক্রোনাস স্পিডে ঘুরে। এগুলো পাওয়ার প্লান্টে ব্যবহার করে হয় এদের উচ্চতর দক্ষতার কারনে। সিঙ্ক্রোনাস জেনারেটর ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশনের ফ্যারাডের সুত্র অনুসারে কাজ করে।

 

সুবিধা

  • সাধারন ডিজাইন
  • ছোট সাইজের হয়
  • লস খুব কম হয়
  • কম মেইন্টেন্যান্স এর প্রয়োজন হয়।
  • ব্রেকার এর সাইজ তুলানামুলক ছোট হয়।

ডিসি জেনারেটর

ডিসি জেনারেটর হচ্ছে ডাইরেক্ট কারেন্ট জেনারেটর যা হচ্ছে একপ্রকারের ইলেক্ট্রিক্যাল মেশিনের মত কাজ করে যা মেকানিক্যাল এনার্জিকে ডাইরেক্ট কারেন্টে রুপান্তর করে। এই রুপান্তরন প্রকিয়াটি Induced EMF এর নিতী অনুসরন করে।

 

ডিসি জেনারেটরের এর গঠন

ডিসি জেনারেটরকে ডিসি মোটর হিসেবে ব্যাবহার করা যায় কোনরকম পরিবর্তন ছাড়াই। তাই ডিসি মোটর বা জেনারেটরকে ডিসি মেশিন হিসেবে বলা যেতে পারে। ডিসি মেশিন স্ট্যটর এবং রোটর সাধারনত এই দুইটি অংশ দ্বারা গঠিত। ৪ পোল ডিসি মেশিনের গঠন প্রানলী নিম্নে দেওয়া হলঃ
 

ডিসি জেনারেটরের বেসিক কম্পনেন্ট সমুহ

ইয়োকঃ মেশিনের বাইরের আবরনীকে ইয়োক বলা হয়। এটি কাষ্ট আয়রন বা স্টিল দারা তৈরি করা হয়। সম্পুর্ন এসেম্বলিকে ধরে রাখে এটি।

পোলসঃ পোল গুলো ইয়োকের সাথে বোল্ট দ্বারা যুক্ত করা হয়। পোল এর সাথে ফিল্ড উয়ান্ডিং পেচানো থাকে।

ফিল্ড উয়ান্ডিংঃ ফিল্ড উয়ান্ডিং কপার দ্বারা তৈরি করা হয়। এগুলো প্রত্যেক পোল এর সাথে পেচানো অবস্থায় সিরিজে যুক্ত থাকে।

আর্মেচার কোরঃ এটি হচ্ছে ডিসি মেশিনের রোটর। এটি দেখতে সিলিন্ডার আকৃতির শেপ, অনেকগুলো স্লট দ্বারা তৈরী যা আর্মেচার উয়ান্ডিং গুলো বহন করে। আর্মেচার পাতলা লেমিনেটেদ গোলাকার স্টিলের ডিস্ক দিয়ে তৈরি যেন Eddy কারেন্ট লস না হয়।

 আর্মেচার উয়ান্ডিংঃ এটা হচ্ছে প্যাচানো কপার কয়েল যা আর্মেচার স্লটের মধ্যে থাকে। আর্মেচার কন্ডাক্টর গুলো ইন্সুলেটেড থাকে একটা থেকে অন্যটা থেকে এবং আরমেচার কোর থেকেও আলাদা থাকে।

কমুটেটরঃ এটি দেখতে সিলিন্ডার আকৃতির এবং এখানেই কারেন্ট স্টোর হয়ে থাকে এবং পরবর্তী স্টিপে সঞ্চালনের জন্য তৈরি হয়।

ব্রাশঃ এটি মুলত কন্টাক্ট সাপ্লাই দেওয়ার জন্য ব্যাবহার করা হয়। এবং আউটপুট সাপ্লাই ও এখান থেকেই হয়।
 

ডিসি জেনারেটর এর প্রকারভেদ

১.সেলফ এক্সাইটেড ( Self excited) - এই ধরনের জেনারেটর এ ফিল্ড কয়েল গুলো এনারজাইজড হয় জেনেরেটর দ্বারা উৎপাদিত কারেন্ট দ্বারা। এই জেনেরেটর আবার তিন ধরনের হয়ঃ

a) সিরিজ জেনারেটর  b) শান্ট জেনারেটর  c) কম্পাউন্ড জেনারেটর।

২. সেপারেটলি এক্সাইটেদ ( Separately excited) - এই ধরনের জেনারেটর এ ফিল্ড কয়েল গুলো এনারজাইজড হয় স্বাধীন বহির্মুখী ডিসি উৎস থেকে।

সুবিধাঃ

  • অতি সাধারন ডিজাইন
  • অপারেশন সহজ

 

১। জেনারেটর কাকে বলে?

উত্তরঃ জেনারেটর এমন একটি যন্ত্র বা মেশিন যার সাহায্যে যান্ত্রিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয়।

২। স্ট্রে লস কি?

উত্তরঃ সাধারণত ম্যাগনেটিক এবং মেকানিক্যাল লসগুলোকে যৌথভাবে স্ট্রে লস বলা হয়।

৩। ডিসি জেনারেটরের প্রধান অংশ কি কি?

উত্তরঃ ডিসি জেনারেটরের প্রধান অংশ দুটি যথাঃ ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট ( ফিল্ড কয়েল, আর্মেচার ওয়াইন্ডিং, কম্যুটেটর, ব্রাশ) ও ম্যাগনেটিক সার্কিট (ফ্রেম, পোল কোর, পোল স্যু, আর্মেচার কোর, এয়ার গ্যাপ)।

৪। ডিসি জেনারেটরের আবিষ্ট ই.এম.এফ কি কি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল?

উত্তরঃ চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রাবল্য, আর্মেচার কন্ডাক্টরের দৈর্ঘ্য এবং আর্মেচার কয়েলের টার্ন সংখ্যা, আর্মেচারের গতিবেগ।

আরো জানুন>>সার্কিট ১ প্রশ্ন ও উত্তর

৫। এক্সাইটেশন অনুযায়ী ডিসি জেনারেটর কত প্রকার?

উত্তরঃ এক্সাইটেশন অনুযায়ী ডিসি জেনারেটর দুই প্রকার যথা, সেপারেটলি এক্সাইটেড এবং সেলফ এক্সাইটেড।

৬। কনস্ট্যান্ট লস কি?

উত্তরঃ ডিসি জেনারেটরের স্ট্রে লস এবং শান্ট ফিল্ড কপার লসকে একত্রে কনস্ট্যান্ট লস বলে।

৭। ডিসি জেনারেটরের লস কত প্রকার?

উত্তরঃ ডিসি জেনারেটরের লস তিন প্রকার। যথাঃ কপার লস, ম্যাগনেটিক লস, মেকানিক্যাল লস।

৮। সিরিজ জেনারেটর কাকে বলে?

উত্তরঃ যে ধরনের জেনারেটরের ফিল্ড কয়েল আর্মেচারের সাথে সিরিজে সংযোগ থাকে, তাকে সিরিজ জেনারেটর বলে।

৯। সিরিজ ফিল্ড কয়েলের তার কেমন হয়?

উত্তরঃ সিরিজ ফিল্ড কয়েলের তার তুলনামূলক ভাবে মোটা এবং অল্প সংখ্যক প্যাচের হয়।

১০। সেপারেটলি এক্সাইটেড জেনারেটর কাকে বলে?

উত্তরঃ যে ধরনের ডিসি জেনারেটরে ফিল্ড কয়েলকে পৃথকভাবে ব্যাটারি হতে বা জেনারেটর হতে কারেন্ট সরবরাহ করে উত্তেজিত করা হয়, তাকে সেপারেটলি এক্সাইটেড জেনারেটর বলে।

১১। পোল পিচ কাকে বলে?

উত্তরঃ ডিসি জেনারেটরের পাশাপাশি দুটি পোলের মধ্যবিন্দু হতে মধ্যবিন্দু পর্যন্ত দূরত্বকে পোল পিচ বলে।

১২। আর্মেচার ওয়াইন্ডিং কাকে বলে?

উত্তরঃ আর্মেচার কোরের উপরিভাগের খাজগুলোতে নির্দিষ্ট নিয়মে পরিবাহী কয়েল প্যাঁচানো কে আর্মেচার ওয়াইন্ডিং বলে।

১৩। প্রগ্রেসিভ ওয়াইন্ডিং কাকে বলে?

উত্তরঃ ল্যাপ ওয়াইন্ডিং-এ ব্যাক পিচ ফ্রন্ট পিচ অপেক্ষা বড় হলে ওয়াইন্ডিং সামনের দিকে অর্থাৎ ডানাবর্তে ক্রমাগত অগ্রসর হয়, একেই প্রগ্রেসিভ ওয়াইন্ডিং বলে।

১৪। কম্যুটেটর পিচ কাকে বলে?

উত্তরঃ ডিসি জেনারেটরের কম্যুটেটরের দু’টি সেগমেন্টের দূরত্বকে কম্যুটেটর পিচ বলে।

১৫। গড় পিচ কাকে বলে?

উত্তরঃ আর্মেচার ওয়াইন্ডিং-এর ফ্রন্ট পিচ এবং ব্যাক পিচ এর গড়কে অ্যাভারেজ পিচ বলে।

১৬। ইকুইলাইজারের কাজ কি?

উত্তরঃ ল্যাপ ওয়াইন্ডিং এর বিভিন্ন প্যারালাল পথের ভোল্টেজ সমান রাখার জন্য ইকুইলাইজার ব্যবহার করা হয়।

১৭। ফ্রন্ট পিচ কাকে বলে?

উত্তরঃ আর্মেচারের যে দিকে কম্যুটেটর থাকে, সেই দিকে একটি কয়েল যতগুলো কন্ডাক্টর কে অন্তর্ভুক্ত করে তাকে ফ্রন্ট পিচ বলে।

১৮। ল্যাপ ওয়াইন্ডিংয়ে বেশি কারেন্ট উৎপন্ন হয় কেন?

উত্তরঃ ল্যাপ ওয়াইন্ডিংয়ে অনেকগুলো প্যারালাল রাস্তা থাকায় প্যারালাল রাস্তাগুলোতে উৎপন্ন কারেন্ট একত্রিত হয়ে কারেন্টের পরিমাণ বেশি হয়। এজন্য ল্যাপ ওয়াইন্ডিংয়ে বেশি কারেন্ট উৎপন্ন হয়।

১৯। ইন্টার পোলের কাজ কি?

উত্তরঃ ইন্টারপোল আর্মেচার প্রতিক্রিয়ার ফলে আর্মেচারে ফিল্ড পোলের চৌম্বক বলরেখা আড়াআড়ি বারে উৎপন্ন চৌম্বক বলরেখাকে বিনষ্ট করে। এর ফলে ফিল্ড পোলের চৌম্বক বলরেখা বিকৃত হবে না এবং এরজন্য ব্রাশকে সরানো প্রয়োজন হয় না।

২০। আর্মেচার রিয়্যাকশন কাকে বলে?

উত্তরঃ মেশিনের পোলের চৌম্বক ক্ষেত্রের উপর আর্মেচার কন্ডাক্টরের কারেন্ট প্রবাহজনিত চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবকে আর্মেচার রিয়্যাকশন বলে।

২১। ডিসি জেনারেটর এর প্রকারভেদঃ-

এক্সাইটেশন এর উপর ভিত্তি করে জেনারেটরকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়-

১। সেপারেটলি এক্সাইটেড জেনারেটর।

২। সেলফ এক্সাইটেড জেনারেটর।

সেলফ এক্সাইটেড জেনারেটর আবার তিন প্রকার-

১। শান্ট জেনারেটর।

২। সিরিজ জেনারেটর।

৩। কম্পাউন্ড জেনারেটর।

কম্পাউন্ড জেনারেটরকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-

১। শর্ট শান্ট কম্পাউন্ড জেনারেটর।

২। লং শান্ট কম্পাউন্ড জেনারেটর।

জেনারেটর এর বিভিন্ন অংশ

Untitled

ইয়ক বা ফ্রেমঃ

জেনারেটরের বাইরের আবরন বা স্তরকে ইয়ক বা ফ্রেম বলে।ছোট জেনারেটর এর ক্ষেত্রে এই ইয়কে কাস্ট আয়রন ব্যবহার করা হয় আর বড় জেনাটরের ক্ষেত্রে স্টিল ব্যবহার করা হয়।

ফিল্ড ওয়াইন্ডিং ও পোল কয়েলঃ

এটি তামার তার দ্বারা তৈরী যা প্রতিটি পোলে সুন্দর ভাবে সাজানো থাকে।

আর্মেচার কোরঃ

জেনারেটরের ভিতরে যে অংশটুকু অবিরাম ঘুরে,তাকেই আর্মেচার বলে। এটা দেখতে অনেকটা সিলিন্ডার এর মত যাতে তামার কন্ডাক্টর প্যাঁচানো থাকে।

আর্মেচার ওয়াইন্ডিংঃ

এটা হলো আর্মেচার স্লটের বাঁকি অংশ যা কন্ডাক্টর দ্বারা প্যাঁচানো থাকে।

আর্মেচারঃ

এটি জেনারেটরের ঘুরন্ত অংশ যার সাথে শ্যাফট লাগানো থাকে

কম্যুটেটরঃ

এটা দেখতে গোলাকার বিয়ারিং এর মত যার মাধ্যমে এতে কারেন্ট এসে জমা হয়ে থাকে পরবর্তী ধাপে যাবার জন্য।

ব্রাশঃ

এটা কার্বন গ্রাফাইটের তৈরি। এটা ব্রাশ কন্টাক্ট এর জন্য ব্যবহার করা হয় যা আউটপুটে সাপ্লাই দিয়ে থাকে।

স্লিপ রিংঃ

এটা কম্যুটেটর এর সাথে যুক্ত থাকে।

এসি এবং ডিসি জেনারেটর এর মাঝে পার্থক্যঃ

আমরা জানি,যেকোন জেনারেটরের আর্মেচার ওয়াইন্ডিং-এ প্রথমত পরিবর্তনশীল ভোল্টেজ বা এসি উৎপন্ন হয়।ডিসি জেনারেটরের ক্ষেত্রে এই এসিকে কম্যুটেটরের মাধ্যমে ডিসিতে রুপান্তরিত করা হয় এবং তা লোডে সরবরাহ করা হয়।এসি এবং ডিসি জেনারেটরের মূল পার্থক্য হলো একটি কম্যুটেটর।

১। প্রাইম মুভার কাকে বলে? কয়েকটি প্রাইম মুভারের নাম লিখ?

এটি এমন এক ধরনের মেশিন যার সাহায্যে যান্ত্রিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করা হয় আর এই বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করার জন্য একটি চুম্বক-ক্ষেত্র এবং একটি আর্মেচার যার উপরি ভাগে তারের কয়েল প্যাঁচানো থাকে এবং যাকে যান্ত্রিক শক্তির মাধ্যমে চুম্বক ক্ষেত্রে ঘুরানো হয়। আর যে যন্ত্রের মাধ্যমে একে ঘুরানো হয় তাকে প্রাইম মুভার বলে যেমনঃ টারবাইন।

এই প্রাইম মুভার পেট্রোল ইঞ্জিন ,ডিজেল ইঞ্জিন ,স্টিম টারবাইন , গ্যাস টারবাইন ,ওয়াটার টারবাইন ,গ্যাস ইঞ্জিন ,সিএনজি ইঞ্জিন হতে পারে।

২। ইঞ্জিনএ কালো ধোঁয়া উৎপন্ন হয় কেন?

ইঞ্জিনে বিভিন্ন কারনে কালো ধোঁয়া উৎপন্ন হতে পারে। যেমনঃ

ওভার লোড বা লো লোডে চললেপিস্টনের রিং বা লাইনার ক্ষয়প্রাপ্ত হলেকম্প্রেসর প্রেসার কম হলেফুয়েল ইনজেকশন টাইমিং সময় মত না হলেট্যাপেট ক্লিয়ারেন্স সঠিক না হলেভাল্ব টাইমিং সঠিক না হলে ও ইঞ্জেক্টর ত্রুটিপূর্ণ হলে।

৩। কার্বুরেটর কি?

কার্বুরেটর প্রেট্রোল ইঞ্জিনের হার্ট। এটা মূলত ইঞ্জিনের চাহিদা অনুযায়ি বিভিন্ন অনুপাতে এয়ার ফুয়েল মিক্সার করে।

৪। সুপ্ত তাপ কাকে বলে?

তাপমাত্রার কোন পরিবর্তন না ঘটিয়ে একক ভরের কোন বস্তু এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রুপান্তর হতে যে তাপ গ্রহন বা বর্জন করে তাকে ঐ বস্তুর সুপ্ততাপ বলে।

৫। ইঞ্জিনে সাদা ধোঁয়া উৎপন্ন হয় কেন?

ইঞ্জিনে সাদা ধোঁয়া বিভিন্ন কারনে হতে পারে তবে এর মধ্যে রয়েছেঃ

কম্বাশন চেম্বারে পানি প্রবেশ করলেজ্বালানি দূষণ হলেইঞ্জিনের তাপমাত্রা মাত্রা-অতিরিক্ত হলেফুয়েল ইঞ্জেকশন টাইমিং বেশি হলে।

 

প্রশ্নঃ পিস্টন রিং সংক্ষিপ্ত ভূমিকা আলোচনা কর? 

উত্তরঃ  পিস্টন রিং ব্যাপকভাবে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি যেমন বাষ্প ইঞ্জিন, ডিজেল ইঞ্জিন, পেট্রল ইঞ্জিন, কম্প্রেসার, জলবাহী presses ইত্যাদি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, ব্যাপকভাবে অটোমোবাইল, ট্রেন, জাহাজ, ইয়ট এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। সাধারণ পিস্টন রিং পিস্টন রিং ঘের মধ্যে ইনস্টল করা হয়, এটি এবং পিস্টন, সিলিন্ডার মাছ ধরার নৌকা, সিলিন্ডার মাথা এবং অন্যান্য উপাদান গঠন চেম্বার কাজ।

 তাৎপর্যঃ 

পিস্টন রিং জ্বালানী ইঞ্জিনের মূল অংশ, যা সিলিন্ডার, পিস্টন এবং সিলিন্ডার প্রাচীরের সাথে জ্বালানি গ্যাসের সীলমোহর সমাপ্ত করে।অটোমোবাইল ইঞ্জিনের দুটি ধরণের ডিজেল এবং পেট্রল ইঞ্জিন আছে, কারণ এর বিভিন্ন জ্বালানির পারফরম্যান্সের কারণে পিস্টন রিং ব্যবহার একই নয়, কাস্টিং দ্বারা প্রথম পিস্টন রিং নয়, কিন্তু প্রযুক্তির অগ্রগতিতে, ইস্পাত উচ্চ ক্ষমতা পিস্টন রিং , এবং ইঞ্জিন ফাংশনের সাথে, পরিবেশগত প্রয়োজনীয়তা উন্নত করা হচ্ছে, যেমন বিভিন্ন তাপ চিকিত্সা, তাত্পর্য, ক্রোমিয়াম প্লেটিং, গ্যাস নাইট্রিকাইটিং, শারীরিক জমাশন, পৃষ্ঠ লেপ, জিংক এবং ম্যাঙ্গানিজ ফসফটিং চিকিত্সা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের চিকিত্সা অ্যাপ্লিকেশন, ইত্যাদি। যে পিস্টন রিং ফাংশন ব্যাপকভাবে উন্নত।

ক্রিয়া

পিস্টন রিং অ্যাকশন sealing অন্তর্ভুক্ত, সমন্বয় তেল (তেল নিয়ন্ত্রণ), তাপ প্রবাহ (তাপ স্থানান্তর), গাইড (সমর্থন) চার ফাংশন। সীলমোহর: সিল করা গ্যাসের কথা উল্লেখ করে, ক্র্যাঁকসেকের দহন চেম্বারের গ্যাস লিককে সরে না দেয়, সর্বনিম্ন সীমাতে গ্যাস ফুটো নিয়ন্ত্রণ, তাপ দক্ষতা বাড়ায়। গ্যাস ফুটো কেবল ইঞ্জিন শক্তি হ্রাস করবে না, তেলের দুর্বলতাও তৈরি করবে, এটি গ্যাস রিংয়ের প্রধান কাজ, তৈল নিয়ন্ত্রণ (তেল নিয়ন্ত্রণ): অতিরিক্ত তৈলাক্তকরণের তেলের সিলিন্ডার প্রাচীর, কিন্তু সিলিন্ডার প্রাচীরের কাপড় পাতলাও তেল ফিল্ম, সিলিন্ডার এবং পিস্টন এবং রিং স্বাভাবিক তৈলাক্তকরণ নিশ্চিত করার জন্য, এটি তেল রিং এর প্রধান কাজ। আধুনিক হাই স্পিড ইঞ্জিনে, তেলের চশমা নিয়ন্ত্রণের জন্য পিস্টন রিংয়ের কর্মে বিশেষ মনোযোগ প্রদান করা হয়; তাপ চালনা: সিলিন্ডার হাতা থেকে পিস্টন তাপ প্রবাহ, যে, শীতল প্রভাব। নির্ভরযোগ্য তথ্য অনুযায়ী, নলকুচ করা পিস্টনের পিস্টন শীর্ষে তাপ হল সিলিন্ডার প্রাচীরের পিস্টন রিং দিয়ে $ সংখ্যা। কুলিং পিস্টন মধ্যে $ নম্বর সিলিন্ডার প্রাচীর পিস্টন রিং মাধ্যমে ছড়িয়ে হয়; সমর্থন: পিস্টন মসৃণ আন্দোলন নিশ্চিত করার জন্য ঘর্ষণ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসকরণ এবং পিস্টনকে সিলিন্ডারের মুখোমুখি হতে বাধা দেওয়ার জন্য পিস্টন এবং সিলিন্ডার প্রাচীরের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ রোধ করতে সিলিন্ডারে পিস্টন রাখার জন্য পিস্টন রিং। সাধারণ পেট্রোল ইঞ্জিনের পিস্টন দুটি গ্যাস রিং এবং একটি তেলের রিং ব্যবহার করে, যখন ডিজেল ইঞ্জিন সাধারণত দুটি গ্যাস রিং এবং একটি তেল রিং ব্যবহার করে।

 

অল্টারনেটর ও  ডি সি জেনারেটরের সাথে তুলনাঃ 

ডিসি জেনারেটরের সাথে অল্টারনেটরের বেশ কিছু পার্থক্য বিশেষ গুরুত্বের দাবীদার।

অল্টারনেটর ডিসি জেনারেটর
১. এতে পরিবর্তনশীল ভোল্টেজ উৎপন্ন হয় এবং স্লিপ রিং এর মাধ্যমে লোডে সরবরাহ করা হয়। ১. এতে প্রাথমিক অবস্থায় পরিবর্তনশীল ভোল্টেজ উৎপন্ন হলেও পরে কম্যুটেটরের সাহায্যে ডি সি তে রুপান্তরিত করে লোডে সরবরাহ করা হয়।
২. এতে স্লিপ রিং থাকে। ২. এতে কম্যুটেটর থাকে।
৩. চৌম্বক ক্ষেত্র ও আর্মেচার যেকোন একটি ঘুরন্ত এবং অপরটি স্থির থাকতে হবে । ৩. চৌম্বক ক্ষেত্র স্থির থাকবে ও আর্মেচার ঘুরবে।
৪. আর্মেচার ওয়াইন্ডিং খোলা থাকে। ৪. আর্মেচার ওয়াইন্ডিং বন্ধ থাকে।
৫. ফিল্ডে ডি সি সাপ্লাই দিতে হয়। ৫. আলাদা ডি সি সাপ্লাই দিতে হয়না।
৬. ফিল্ড কোর লেমিনেটেড শিট দ্বারা তৈরি।

৬. ফিল্ড কোর ঢালাই লোহার তৈরি।

 

 

বিঃ দ্রঃ ভাল না বুঝতে পাড়লে ক্লাসে আরও বিশদ ভাবে আলোচনা করা হবে।