প্রশ্নঃ পার্থক্য লিখঃ রিলে এবং ম্যাগনেটিক কন্ট্রাক্টর?
উত্তরঃ রিলে এবং ম্যাগনেটিক কন্ট্রাক্টর এর মধ্যে পার্থক্য
রিলে | ম্যাগনেটিক কন্ট্রাক্টর |
|
|
2. রিলে সাধারণত কন্ট্রোল সার্কিট, অটোমেশন ও ইলেক্ট্রোনিক সার্কিটে ব্যাহার করা হয়। | ২. ম্যাগনেটিক কন্ট্রাক্টর সাধারণত মোটর , ক্যাপাসিটর ব্যাংক, পাওরার সার্কিটে ব্যবহার করা হয়। |
3. রিলে সাধারণত সিঙ্গেল ফেজ এর হয়ে থাকে। | 3. ম্যাগনেটিক কন্ট্রাক্টর সাধারণত সিঙ্গেল ফেজ ও থ্রী ফেজ এর হয়ে থাকে। |
4. রিলের মধ্যে আর্ক নেভানোর কোন ব্যবস্থা থাকে না। | 4. ম্যাগনেটিক কন্ট্রাক্টর এর মধ্যে আর্ক নেভানোর কোন ব্যবস্থা থাকে। |
5. রিলে সাইজে ছোট এবং দামে সস্তা হয়। | 5. ম্যাগনেটিক কন্ট্রাক্টর সাইজে বড় এবং দাম রিলের তুলনায় বেশী। |
প্রশ্নঃ পার্থক্য লিখঃ তার এবং ক্যাবল?
উত্তরঃ তার এবং ক্যাবল এর মধ্যে পার্থক্য
তার | ক্যাবল |
1. শুধু একটি পরিবাহী থকবে। | 1. দুই বা ততোধিক পরিবাহী থাকবে। |
2. তার ইন্সুলেটর যুক্ত বা বিহীন হতে পারে। | 2. ইহা অবশ্যই ইন্সুলেটর যুক্ত হতে হবে। |
3. তার ইলেক্ট্রিসিটি পরিবহন ও মেকানিক্যাল লোড বহনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। | 3. ক্যাবল ইলেক্ট্রিসিটি পরিবহন, রেডিও ও টেলিকমিউনিকেশন কাজে ব্যবহার করা হয়। |
প্রশ্নঃ পার্থক্য লিখঃ 1Ø & 3Ø?
উত্তরঃ 1Ø & 3Ø এর মধ্যে পার্থক্য
1Ø | 3Ø |
1. দুটি তারের মাধ্যমে কানেকশন দেওয়া হয়। যার একটি লাইন, অপরটি নিউট্রাল। | 1. চারটি তারের মাধ্যমে কানেকশন দেওয়া হয়। যার তিনটি ফেজ এবং একটি নিউট্রাল। |
2. শুধু সিঙ্গেল ফেজ লোড চালানো যায়। | 2. সিঙ্গেল ফেজ এবং থ্রী ফেজ উভয় লোড চালানো যায়। |
3. কম লোডের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ বাসাবাড়ি, দোকান ইত্যাদি। | 3. বেশী লোডের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ মিল, কল-কারখানা ইত্যাদি। |
4. লস বেশী এবং দক্ষতা কম। | 4. লস কম এবং দক্ষতা বেশী। |
5. ভোল্টেজ ২২০-২৩০ ভোল্ট। | 5. ভোল্টেজ ৪০০-৪১৫ ভোল্ট। |
প্রশ্নঃ অল্টারনেটর ও ডি সি জেনারেটরের সাথে তুলনাঃ
ডিসি জেনারেটরের সাথে অল্টারনেটরের বেশ কিছু পার্থক্য বিশেষ গুরুত্বের দাবীদার।
অল্টারনেটর | ডিসি জেনারেটর |
১. এতে পরিবর্তনশীল ভোল্টেজ উৎপন্ন হয় এবং স্লিপ রিং এর মাধ্যমে লোডে সরবরাহ করা হয়। | ১. এতে প্রাথমিক অবস্থায় পরিবর্তনশীল ভোল্টেজ উৎপন্ন হলেও পরে কম্যুটেটরের সাহায্যে ডি সি তে রুপান্তরিত করে লোডে সরবরাহ করা হয়। |
২. এতে স্লিপ রিং থাকে। | ২. এতে কম্যুটেটর থাকে। |
৩. চৌম্বক ক্ষেত্র ও আর্মেচার যেকোন একটি ঘুরন্ত এবং অপরটি স্থির থাকতে হবে । | ৩. চৌম্বক ক্ষেত্র স্থির থাকবে ও আর্মেচার ঘুরবে। |
৪. আর্মেচার ওয়াইন্ডিং খোলা থাকে। | ৪. আর্মেচার ওয়াইন্ডিং বন্ধ থাকে। |
৫. ফিল্ডে ডি সি সাপ্লাই দিতে হয়। | ৫. আলাদা ডি সি সাপ্লাই দিতে হয়না। |
৬. ফিল্ড কোর লেমিনেটেড শিট দ্বারা তৈরি। |
৬. ফিল্ড কোর ঢালাই লোহার তৈরি। |
প্রশ্নঃ এস.আই (পেট্রোল/গ্যাসোলিন) এবং সি.আই (ডিজেল) ইঞ্জিনের মধ্যে পার্থক্য (Difference Between S.I and C.I Engine) :
উত্তরঃ
1. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিন অটোসাইকেলের উপর চলে এবং সি.আই. ইঞ্জিন ডিজেল সাইকেলের উপর চলে।
2. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনে সাকশনের সময় বাতাস এবং জ্বালানি সিলিন্ডারে প্রবেশ করে। ডিজেল ইঞ্জিনে সাকশনের সময় শুধুমাত্র বাতাস সিলিন্ডারে প্রবেশ করে।
3. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনের দহনকার্য সম্পাদনের জন্য ব্যাটারী , ইগনিশন কয়েল , সি.বি. পয়েন্ট , ডিস্ট্রিবিউটর এবং স্পার্কপ্রাগ ইত্যাদির প্রয়োজন হয়।ডিজেল ইঞ্জিনের দহনকার্য সম্পাদনের জন্য কম্প্রেশন স্ট্রোকের শেষে হাইপ্রেসার পাম্প ইনজেক্টরের সাহায্যে ডিজেল স্প্রে করে।
4. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনে জ্বালানি পদ্ধতির জন্য এ.সি. পাম্প এবং কারবুরেটর অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ডিজেল ইঞ্জিনে জ্বালানি পদ্ধতির জন্য হাইপ্রেসার পাম্প এবং ইনজেক্টরের অত্যন্ত প্রয়োজন।
5. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনের সঙ্কোচন অনুপাত 7 : 1 হতে 10:1 এবং ডিজেল ইঞ্জিনের সঙ্কোচন অনুপাত 12 : 1 হতে 20 : 1 (ইঞ্জিনের আকার আকৃতির উপর নির্ভর করে সংকোচন অনুপাত কমবেশি হতে পারে)
6. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিন ওজনে হালকা । ডিজেল ইঞ্জিন ওজনে ভারী।
7. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনে উচ্চমানের তেল ব্যবহার করা হয় এবং ডিজেল ইঞ্জিনে নিম্নমানের তেল ব্যবহার করা হয়।
8. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা 25% এবং ডিজেল ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা 35%
9. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনের স্পীড এবং লোড কারবুরেটরের থ্রোটল ভালভ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ডিজেল ইঞ্জিনের লোড এবং স্পীড গভর্ণর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
10. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনের গঠন - প্রণালী সহজ ও সরল এবং ডিজেল ইঞ্জিনের গঠন - প্রণালী জটিল।
11. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনের আয়ু বেশি অর্থাৎ দীর্ঘদিন চালনা করা যায় এবং ডিজেল ইঞ্জিনের আয়ু কম অর্থাৎ পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনের মতো দীর্ঘদিন চালনা করা যায় না।
12. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনের দাম তুলনামূলক ভাবে কম । ডিজেল ইঞ্জিনের দাম বেশী ইত্যাদি।
|
|
প্রশ্নঃ পার্থক্য লিখঃ সার্কিট ব্রেকার, অটো-রিক্লোজার, ফিউজ এবং আইসোলেটর।
উত্তরঃ সার্কিট ব্রেকার, অটো-রিক্লোজার, ফিউজ এবং আইসোলেটর এর মধ্যে পার্থক্য হলঃ
সার্কিট ব্রেকার | অটো-রিক্লোজার | ফিউজ | আইসোলেটর |
১। ইহা বর্তনীর অস্বাভাবিক অবস্থায় স্বয়ংক্রিয় ভাবে বর্তনীকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে। | .১।ইহা বর্তনীর স্থায়ী ত্রুটি অবস্থায় স্বয়ংক্রিয় ভাবে বর্তনীকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে। | .১। ইহা বর্তনীর অস্বাভাবিক অবস্থায় ফিউজ তার গলে গিয়ে বর্তনীকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে। | .১।ইহা অস্বাভাবিক বা স্বাভাবিক অবস্থায় স্বয়ংক্রিয় ভাবে বর্তনীকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে না। |
২। স্বাভাবিক অবস্থায় সার্কিটে সংযোগ বা বিচ্ছিন্ন করার জন্য সুইচের মত কাজ করতে পারে। | ২। এ ধরনের ব্যবস্থা এতে নেই। | ২। ফিউজে কোন সুইচ নেই তবে ফিউজ পুলার বা হাত দিয়ে খোলে ও বন্ধ করে স্বাভাবিক অবস্থায় সার্কিটে সংযোগ বা বিচ্ছিন্ন করা যায় কিন্তু তা বিপদজনক। | ২।আইসোলেটরের অপারেশন( খোলা বা বন্ধ করা) শুধু মাত্র অনুদ্যমশীল অবস্থায়ই সম্ভব। তবে অল্প কারেন্ট প্রবাহের ক্ষেত্রে চালু অবস্থায় খোলা বা বন্ধ করা যায়। |
৩। ত্রুটি সংঘটিত হলে ইহা বর্তনীকে বিচ্ছিন্ন করে কিন্তু ইহা ত্রুটি চিহ্নিত করে না। ত্রুটি চিহ্নিত করে রিলে। | ৩।সার্কিট ব্রেকারের মত ব্যবস্থা এতেও আছে। | ৩।ত্রুটি চিহ্নিত করন ও ত্রুটি দূরীকরণ উভয়ই একইসঙ্গে করে থাকে। | ৩। এর এ ধরনের কোন ক্ষমতা নেই। |
৪। অপারেটিং টাইম ফিউজের চেয়ে বেশী (০.১ থেকে ০.৩ সেকেন্ড) | ৪। এ ক্ষেত্রে আরও কিছু বেশী সময় নেয়, তিন বার অপারেশনের জন্য। | ৪।অপারেটিং টাইম সার্কিট ব্রেকারের চেয়ে অনেক কম (০.০০২ সেকেন্ড বা তার কাছাকাছি) | .৪। এর অপারেটিং টাইম বলতে কিছু নেই। |
৫। সার্কিট ব্রেকার পরিচালনার জন্য সিটি, পিটি, রিলে ট্রিপিং ব্যবস্থা ইত্যাদি আনুসাঙ্গিক যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়। | ৫। এ ক্ষেত্রেও ঐ সমস্ত যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়। | ৫। এ গুলোর প্রয়োজন নেই। | ৫। এ গুলোর প্রয়োজন নেই। |
৬। সার্কিট ব্রেকার হাই ভোল্টেজ লাইন এবং বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট প্রোটেকশনের জন্য ব্যবহার করা হয়। | ৬। সাধারণত গ্রামীণ ব্যবস্থায় যেখানে ডিস্ট্রিবিউশন লাইনে ক্ষণস্থায়ী ফল্ট বেশী হয় সেখানে ইহার প্রয়োজন বেশী এবং বেশ ভাল ভাবেই কাজ করে। | ৬। স্ফুলিঙ্গ নিবারনের ব্যবস্থা না থাকায় সাধারণত উচ্চ ভোল্টেজ লাইনে ব্যবহার করা যায় না। | ৬।ইহা শুধু মাত্র সার্কিট ব্রেকারের আগে ও পরে লো এবং হাই ভোল্টেজ লাইনে ব্যবহার করা হয়। |
৭। প্রতিনিয়ত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়। | ৭।প্রতিনিয়ত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়। | ৭। তেমন কোন রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় না। | ৭। তেমন কোন রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় না। |
৮। এতে আর্ক নির্বাপণের বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। | ৮।এতে আর্ক নির্বাপণের বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। | ৮।এতে আর্ক নির্বাপণের বিশেষ ব্যবস্থা থাকে না। | ৮। চালু অবস্থায় ওপেন করতে গেলে আরকিং হয় এবং প্রতিরোধের জন্য কোন ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া এটি চালু অবস্থায় খোলা বা বন্ধ করা যায় না। |
.৯। সার্কিট ব্রেকারের গঠন খুব জটিল এবং দামও বেশী। | .৯।অটো-রিক্লোজারের গঠন খুব জটিল এবং দামও বেশী। | .৯। গঠন সহজ এবং দামও কম। | .৯। গঠন সহজ এবং দাম কম কিন্তু ফিউজের চেয়ে বেশী। |
প্রশ্নঃ পার্থক্য লিখঃ এয়ার সার্কিট ব্রেকার ও অয়েল সার্কিট ব্রেকার ।
উত্তরঃ এয়ার সার্কিট ব্রেকার ও অয়েল সার্কিট ব্রেকার এর মধ্যে পার্থক্য হলঃ
এয়ার সার্কিট ব্রেকার | অয়েল সার্কিট ব্রেকার |
১। এর গঠন জটিল। | ১। এর গঠন অপেক্ষাকৃত সহজ সরল। |
২। অপারেশনের জন্য সর্বদা উচ্চ চাপের বায়ু মজুত রাখতে হয়। | ২। অপারেশন তেলের মধ্যে সম্পন্ন হয়। |
৩। চলমান কন্ট্রাক্টকে খোলা ও বন্ধ এবং আর্ক নিবাপনের জন্য বায়ু ব্যবহৃত হয়। | ৩। ইন্সুলেশন ও আর্ক নির্বাপণের উদ্দেশ্যে তেল ব্যবহৃত হয়। |
৪। কন্টাক্ট গুলো বায়ু মাধ্যমে থাকে। | ৪। কন্টাক্ট গুলো ইন্সুলেটিং তেলে ডুবানো থাকে। |
৫। আগুন লাগার সম্ভাবনা খুবই কম। | ৫। তেল মাধ্যমে আগুন লাগার সম্ভাবনা থাকে। |
৬। আরকিং পিরিয়ড খুব কম হয়। | ৬। আরকিং পিরিয়ড তুলনামূলক ভাবে বেশী। |
৭। আর্ক এনার্জি কম হওয়ায় কন্টাক্ট সমূহ কম ক্ষতি গ্রস্থ হয়। | ৭। আর্ক এনার্জি বেশী হওয়ায় কন্টাক্ট সমূহ বেশী ক্ষতি গ্রস্থ হয়। |
৮। পুনঃ পুনঃ অপারেশনের উপযোগী। | ৮। পুনঃ পুনঃ অপারেশনে ইন্সুলেটিং তেলের গুনাগুন নষ্ট হয় বলে এটি তেমন উপযোগী নয়। |
৯। কমপ্রেসর থেকে নতুন বায়ু প্রবেশ করে খুব তাড়াতাড়ি ডাই-ইলেকট্রিক শক্তি অর্জন করে। | ৯। প্রতিবার অপারেশনে নতুন তেল ব্যবহার করা যায় না বলে এত তাড়াতাড়ি ডাই-ইলেকট্রিক শক্তি অর্জন করতে পারে না। |
১০। এটি বেশী ক্যাপাসিটি সম্পন্ন হয় না। | ১০। বেশী ক্যাপাসিটি ইউনিট তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়। |
বিঃ দ্রঃ ভাল না বুঝতে পাড়লে ক্লাসে আরও বিশদ ভাবে আলোচনা করা হবে।